Saturday, 9 May 2020

ঐশীর শুভকামনায় জেসিয়া

ঐশীর শুভকামনায় জেসিয়া

এবার কার মাথায় উঠবে বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট, কয়েক ঘণ্টা পরই তা জানা যাবে। তবে আশার কথা হল-এখনো টিকে আছেন বাংলাদেশের প্রতিযোগী ঐশী।
তার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন গত বছর বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন জেসিয়া ইসলাম। বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালেতে জায়গা করে নেয়ায় ঐশীর জন্য গর্বিত তিনি।
জেসিয়া বলেন, ঐশী যেন প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত সময় পর্যন্ত মঞ্চে থাকতে পারেন, এই কামনাই করি। বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ অংশের অনুমোদিত আয়োজক প্রতিষ্ঠান অন্তর শোবিজ।
এই প্রতিষ্ঠান দুই বছর ধরে বাংলাদেশে আয়োজন করছে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’। প্রথম আসরের বিজয়ী ছিলেন জেসিয়া ইসলাম, আর এবার ঐশী।
শনিবার সন্ধ্যায় চীনের সানাই শহরে বসছে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে। ওই মঞ্চে লাল-সবুজের পতাকার প্রতিনিধিত্ব করবেন ঐশী। বাংলাদেশ সময় বিকাল পাঁচটায় অনুষ্ঠানটি সরাসরি প্রচার করবে জুম টিভি।
ভ্যানেসা পন্তের মাথায় বিশ্বসুন্দরীর মুকুট

ভ্যানেসা পন্তের মাথায় বিশ্বসুন্দরীর মুকুট

এ বছর বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চে সেরা সুন্দরীর মুকুট পরলেন মেক্সিকোর ২৬ বছর বয়সী তরুণী ভ্যানেসা পন্তে দেলেওন। শনিবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত সোয়া ৮টার দিকে চিনের সানাইয়া সিটি এরেনা মঞ্চে তার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন গত বছরের বিশ্বসুন্দরী মানুষী চিল্লার। এ বছর প্রতিযোগিতার ৬৮তম আসরে ১১৮ দেশের সুন্দরীদের হটিয়ে বিশ্ব সুন্দরী-২০১৮-এর স্বীকৃতি পেলেন ‘মিস মেক্সিকো’
প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পর তার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভ্যানেসা বলেন, ‘আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছিনা, আমি সত্যিই বিম্বাস করতে পারছি না… আমি মনে করি প্রতিযোগিতার প্রত্যেকটি মেয়েই এই মুকুটের যোগ্য। আমি তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত।’
এ বছর বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতার ৬৮তম আসরের ফাইনাল মঞ্চে দাঁড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। তবে লক্ষ্যের অনেকটাই কাছাকাছি গিয়েছিলেন তিনি। কারণ সেরা ৩০ থেকে সেরা ১২তে পৌঁছাতে পারেনি ঐশী।
শাহরুখের ভক্তরাও দান করলেন প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে

শাহরুখের ভক্তরাও দান করলেন প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে

এই মুহূর্তে ভারতজুড়ে শাহরুখ খানের প্রশংসায় মেতেছে সবাই। মুম্বাই, দিল্লী, কলকাতার মতো বড় আর গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে করোনা মোকাবিলায় বিপুল সাহায্য দান করেছেন বলিউড বাদশা। তাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
প্রিয় নায়কের মহানুভবতা দেখে এবার এগিয়ে এলেন তার ভক্তরাও। করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর জরুরিকালীন তহবিলে অনুদান দিলেন শাহরুখ ভক্তরা। এই তহবিলে ১ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন কিং খানের ফ্যান পেজের সদস্যরা। শাহরুখের ফ্যান পেজ SRK Universe Fan Club-এর পক্ষ থেকে টুইট করে PM Cares Fund-এ এক লক্ষ টাকা প্রদানের কথা জানানো হয়েছে।
আরও জানা গেছে, রাজ্যের বর্ধমান জেলার শাহরুখের কিছু ভক্ত ৫০০টি পরিবারকে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের পূর্ণা শহরেও শাহরুখের কিছু ভক্ত বিভিন্ন পরিবারকে খাবার দিচ্ছে। তেলেঙ্গানার নিজমাবাদ ও ত্রিপুরার উদয়পুরেও শাহরুখের কিছু ভক্ত দাঁড়িয়েছে ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে। তবে ভক্তদের এই দান নিয়ে এখনো কিছু বলেননি বলিউড বাদশা।
ভারতের মানুষের কাছে শাহরুখ খান এক ভালোবাসার নাম। নিজের চারতলা অফিস ও বাড়ি করোনা সন্দেহদের রাখার জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবেও ব্যবহার করতে দিয়েছেন শাহরুখ।
কিং খান বলেন, ‘ আসুন আমরা সকলেই একে অপরের জন্য কিছু করি। ভারতবর্ষ এবং সকল ভারতবাসী আমার পরিবার।’
বোনের পর করোনায় আক্রান্ত অভিনেত্রী জোয়া

বোনের পর করোনায় আক্রান্ত অভিনেত্রী জোয়া

বলিউড তারকা শাজা মোরানির পর এবার তার বোন অভিনেত্রী জোয়া মোরানির শরীরেরও করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। বর্তমানে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধিরুভাই অম্বানি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানায়, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ ও ‘রা ওয়ান’ সিনেমার প্রযোজক করিম মোরানির মেয়ে শাজা ও জোয়া। প্রথমে সোমবার (৬ এপ্রিল) শাজার করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হলে তা পজিটিভ আসে। এরপর দুইবার টেস্ট করার পর জোয়াও আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। তবে শাজার কোনো উপসর্গ না থাকলেও জোয়া বেশকিছু উপসর্গ রয়েছে। অভিনেত্রী দুই বোনেরই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
শাজা বেশ কিছুদিন ধরে শ্রীলঙ্কা ছিলেন। ভারতে লকডাউন শুরু হওয়ার আগে সেখান থেকে তিনি ফেরেন। তবে জোয়ার বিদেশ ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই। তাই চিকিৎসক ধারণা করছে বোন থেকেই তার শরীরে করোনার সংক্রমণ ঘটেছে।
২০০৭ সালে শাহরুখ-দীপিকা জুটির প্রথম সিনেমা ‘ওম শান্তি ওম’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন জোয়া। এছাড়া ২০১১ সালে ‘অলওয়েজ কাভি কাভি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর আরো দুইটি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
এদিকে সাজা ‘দিলওয়ালে’, ‘ধাম’, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ও ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’সহ বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
বলিউড তারকাদের মধ্যে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হন গায়িকা কণিকা কাপুর। এরপর এই তারকা দুই বোন মহামারি এই ভাইরাসের কবলে পড়লেন।
সাভারে পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ

সাভারে পরিবহন শ্রমিকদের বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অঘোষিত লকডাউনের অংশ হিসেবে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক দফায় বন্ধ রাখা হয়েছে গণপরিবহন। এতে করে প্রায় দুই মাস যাবৎ কর্মহীন হয়ে খাদ্য সংকটে পড়ায় খাবারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পরিবহন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থানা স্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবহন শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ করেন। এসময় জরুরি সেবার বিভিন্ন পরিবহন আটকা পড়ে যায়।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, করোনার দোহাই দিয়ে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। অথচ শ্রমিকদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই। প্রায় দুই মাস ধরে পরিবহন শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে চরম কষ্টে দিন যাপন করছেন। রাস্তায় ছোট ছোট অনেক পরিবহন চলছে, চালু করা হয়েছে পোশাক কারখানা সবকিছুই চলছে ঠিকঠাক কিন্তু পরিবহন চলতে দিচ্ছে না। পরিবহন না চলতে দিলে পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহের দাবি জানান বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
পরিবহন শ্রমিক মোসলেম বলেন, আমাদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড, মোবাইল নম্বর ও বিকাশ নম্বর নিয়ে গেলো। লকডাউনের মধ্যেও আরিচা ও মানিকগঞ্জ থেকে শ্রমিকরা এসে এসব কিছু দিয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের খাবার কিংবা সহযোগিতা আমরা পাইনি। আমরা কারও কাছে খাবার চাই না, আমাদের পরিবহন চালু করুক। আমাদের ঘরে খাবার নেই, বাড়ি ভাড়ার টাকা নেই, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাই রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাকারিয়া হোসেন বলেন, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বোঝানোর চেষ্টা করে পুলিশ। অবরোধের আধা ঘণ্টা পর পরিবহন মালিকদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাসে তারা রাস্তা ছেড়ে দেয়।
করোনা পরীক্ষায় দেশে প্রথম বেসরকারি ল্যাব চালু

করোনা পরীক্ষায় দেশে প্রথম বেসরকারি ল্যাব চালু

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বেসরকারি উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চালু হলো পলিমারি চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) ল্যাব। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর উদ্যোগে স্থাপন হওয়া এই ল্যাবে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করা হবে। বুধবার (২৯ এপ্রিল ) দুপুর ১২টায় এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই ল্যাবটির উদ্বোধন হয়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চনের বেস্টওয়ে সিটিতে স্থাপিত এই ল্যাবটিতে নমুনা পরীক্ষার কাজে থাকবেন দুইজন ভাইরোলজিস্ট ও চারজন চিকিৎসক। নমুনা সংগ্রহের কাজে থাকবেন পাঁচজন টেকনোলজিস্ট। যারা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন। নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ল্যাবে থাকছে ০১৭৭-৭৭৭৪২২০ ও ০১৭৭-৭৭৭৪২২২ এই দুইটি হটলাইন নম্বর।
সরকারের কেন্দ্রীয় সংস্থাটি এত দিন নারায়ণগঞ্জ অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠাত। এই টেস্ট ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এখন নারায়ণগঞ্জের নমুনা সংগ্রহ করে এ ল্যাবেই পরীক্ষা করা হবে। এ ল্যাবে করোনা টেস্ট করা হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
গাজী গ্রুপের উপ-মহাব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা পাপ্পা গাজীর সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পরিকল্পনা ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইকবাল কবির, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, জেলার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম, রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নীলা, রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাঈদ আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাছুম, রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মীর আব্দুল আলীম, ইউএস বাংলা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, বেস্টওয়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. ইকবাল কবীর বলেন, কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার জন্য বিএসএল-২ (বায়োসেফটি লেভেল-২) ল্যাবে বায়োলজিক্যাল নিরাপত্তার সব ধরনের সুবিধা থাকা প্রয়োজন। বেসরকারি উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো সেটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থাপন করা হয়েছে। এই নমুনা পরীক্ষার জন্য পলিমারেজ চেইন রি-অ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন ইতোমধ্যেই আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রূপগঞ্জে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। এর সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের উদ্যোগে ব্র্যাকের সহায়তায় পাঁচটি নমুনা সংগ্রহের বুথও স্থাপন করা হচ্ছে। এই বুথগুলো বিভিন্ন স্থানে বসানো হবে। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হবে। এই বুথগুলোতে নমুনা সংগ্রহের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় জনবলও প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
ল্যাবের ভাইরোলজিস্ট ডা. রুকসানা রায়হান বলেন, ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখানে বায়োসেফটি লেভেল-২ ল্যাব নিশ্চিত করা হয়েছে। এখানে জে এস রিসার্চ ব্রান্ডের বায়োসেফটি লেভেল-২ ক্যাবিনেট ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি কোরিয়া থেকে আনা হয়েছে। এই মেশিন দিয়ে প্রতিবার ৯৪টি স্যাম্পল একবারে পরীক্ষা করা যায়।
এ বিষয়ে গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও এই অঞ্চলে একটি পরিপূর্ণ টেস্ট ল্যাব স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং তার পরিবার এগিয়ে এসেছে কোভিড-১৯ এর অন্যতম হটস্পট নারায়ণগঞ্জের জন্য অর্থবহ কিছু করার জন্য।
গোলাম মর্তুজা আরও বলেন, করোনায় আক্রান্ত যারা মাইল্ড সিন্ড্রোমে ভুগছেন তাদের যদি দ্রুত শনাক্ত করে আইসোলেশনে নেয়া যায় এবং যারা করোনা পজিটিভের সংস্পর্শে আসতে পারেন তাদের যদি দ্রুত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া যায়, তাহলেই কেবল এই মারাত্মক সংক্রামক রোগটির সংক্রমণ ধীরগতি করা যেতে পারে। সেজন্য সবার আগে প্রয়োজন রোগ শনাক্ত হওয়া। নারায়ণগঞ্জের স্যাম্পল ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো সময় সাপেক্ষ। এখন থেকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে নারায়ণগঞ্জে থেকেই এখানকার রোগীদের স্যাম্পল টেস্ট করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, জনগণের পাশে থেকেই আমরা গাজী গ্রুপ সব সময় কাজ করে যাই। অতীতেও বিভিন্ন সংকটে গাজী গ্রুপ বিপন্ন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এবার করোনা সংকটের এ সময়ে সরকারের পাশে থেকে কাজ করে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব। আমরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি।
গোলাম মর্তুজা আরও আশা করেন, নারায়ণগঞ্জে যেটা হয়েছে তা যদি বাংলাদেশে সমাজের বিত্তবান ও প্রতিষ্ঠিতদের উদ্যোগে আরও ১৫-২০টি স্থানে করা হয় তবে আমরা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ এড়ানোর যুদ্ধে অনেক দূর এগিয়ে যাব।
মেসে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে হত্যা

মেসে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে হত্যা

ময়মনসিংহ মহানগরীতে ছাত্রদের মেসে ঢুকে তৌহিদুল ইসলাম খান (২৫) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার ভোররাতে সাহরি খাওয়ার পর নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তৌহিদুল নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম খানের ছেলে। সে ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আল-আমিন জানান, শুক্রবার ভোরে নগরীর তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ঘটিয়েছে নাকি চুরি করার জন্য সেখানে গিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত ও আটক করতে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত ৩

নারায়ণগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে নিহত ৩

নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার দীঘিরপাড় এলাকায় একটি পাঁচতলা ভবনের সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে দু’টি শিশু ও এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে৷ এতে আহত হন আরও পাঁচজন৷ শুক্রবার (৮ মে) সকাল ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে৷
নিহতরা হলেন- মাসনুন (১২) ও জিসান (৮) এবং আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লাবনী আক্তার (৩০)৷
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল ৬টার দিকে বন্দরের উইলসন রোডের রফিকুল ইসলামের পাঁচতলা ভবনটির নিচতলায় সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়৷ বিস্ফোরণে বাড়িটির নিচতলা, চারতলা এবং পাশের একটি টিনশেড বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে নিচতলার ঘরে ঘুমন্ত দুই ভাই ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আর ওই বাড়ির পাঁচজন ও পাশের বাড়ির অন্তঃসত্ত্বা লাবনী আহত হন। গুরুতর অবস্থায় লাবনীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। বাকি আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
এবার ঘরে তারাবি পড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

এবার ঘরে তারাবি পড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আগামী রমজান মাসে তারাবি নামাজ ঘরে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। গণভবন থেকে তিনি এই ভিডিও কনফারেন্স করেন।
সিয়াম সাধনার মাস রমজানে মুসলমানরা রাতে এশার নামাজের পর ২০ রাকাতবিশিষ্ট তারাবি নামাজ সমজিদে জামাতের নামাজ পড়ে থাকেন। আগামী ২৫ বা ২৬ এপ্রিল চাঁদ দেখাসাপেক্ষে বাংলাদেশে রমজান মাস শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, সৌদি আরবে নামায, জামাত বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি তারাবি নামাজ সেখানে হবে না, সবাই ঘরে পড়বে। খুব সীমিত আকারে সেখানে তারা করছে। তারা নিষেধ করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ঠিক এভাবে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, এমনকি ভ্যাটিকান সিটি থেকে শুরু করে সব জায়গায় তারা সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছে। নিজেদের সুরক্ষিত করা, অন্যকে সুরক্ষিত করা।’
‘কাজেই এই বিষয়গুলো থেকে আমাদেরও শিক্ষার বিষয় আছে। যে কারণে আমরা মসজিদে না গিয়ে নিজের ঘরে বসে নামাজ পড়া, কারণ- আল্লাহর এবাদত তো আপনি যে কোনো জায়গায় বসে করতে পারেন। এটাতো আল্লাহর কাছে আপনি সরাসরি করবেন। কাজেই বরং আপনার এবাদত করার একটা ভালো সুযোগ আছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সামনে রোজা, এই রমজান মাসে আমাদের কোনো পণ্য পরিবহন ও খাদ্যসামগ্রীর কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। সেই সাথে এখানে তারাবির নামাজ… যেহেতু সৌদি আরব ও অন্যান্য দেশে হচ্ছে না, আমাদের এখানেও… যেহেতু ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে কতগুলো নির্দেশনা দিয়েছে, সেটা মেনে আপনারা ঘরে বসে তারাবি পড়ুন। নিজের মনমতো করে পড়ুন।’
‘আল্লাহকে ডাকতে হবে, এবাদত করতে হবে। আপনি আপনার মতো করে যত ডাকতে পারবেন আল্লাহ সেটাই কবুল করবে, কাজেই সেভাবেই আপনারা করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অযথা মসজিদে গিয়ে কেউ সংক্রমিত হলে সে আরেকজনকে সংক্রমিত করল। আপনারা নিজেরাও অন্যকে করবেন। সেটা কিন্তু করবেন না দয়া করে। এ বিষয়টা সবাই মেনে চলবেন সেটাই আমরা চাই।’
মসজিদ-আল-হারাম ও নববী খুলে দেওয়া হলো  

মসজিদ-আল-হারাম ও নববী খুলে দেওয়া হলো  

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অবশেষে খুলে দেওয়া হলো সৌদি-আরবের সবচেয়ে বড় দুই মসজিদ মক্কার মসজিদ-আল-হারাম ও মদিনার মসজিদ-আল-নববী। প্রায় এক মাস ১০ দিন পর আবার মুসল্লিরা একসঙ্গে নামাজ আদায় করবেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২০ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই মসজিদ দু’টি বন্ধ করে দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (০১ মে) থেকে আবার খুলে দেওয়া ঘোষণা দেয় সৌদি হজ এবং ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
তবে এক্ষেত্রে মুসল্লিদের কিছু নিয়ম-কানুন বেঁধে দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। মসজিদে প্রত্যেক মুসল্লিকে নিজ নিজ জায়নামাজ সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে। সবাইকে অবশ্যই মুখে মাস্ক পড়ে আসতে হবে। মসজিদে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে এবং অবশ্যই শারীরিক দূরত্ব বজার রাখতে হবে।
সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৭৫৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং ১৬৩ জন মারা গেছে।
ছাড়-উপহারে ভরা ল্যাপটপের মেলা

ছাড়-উপহারে ভরা ল্যাপটপের মেলা

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) চলছে ল্যাপটপ মেলা। তিন দিনের এই মেলা কাল শনিবার পর্যন্ত চলবে। আয়োজক এক্সপো মেকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এতে বিভিন্ন ছাড় আর উপহারে বিক্রি হচ্ছে প্রযুক্তিপণ্য। মেলায় ১৬ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা দামের ল্যাপটপ এসেছে এবার।
মেলার প্রকৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহাম্মদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ১৯তম বারের মতো ল্যাপটপ মেলা হচ্ছে। ক্রেতাদের ল্যাপটপ কেনার ধরনে পরিবর্তন এসেছে। এখন শুধু দাম দেখে মানুষ ল্যাপটপ কেনে না। ল্যাপটপ কোন কাজে তাঁরা ব্যবহার করবেন, সে বিষয়টি মাথায় রেখে ল্যাপটপ কেনেন তাঁরা। এখন ৩৫-৪৫ হাজার টাকা দামের ল্যাপটপগুলোতে আগ্রহ বেশি দেখা যায়।
ডেলের বিপণন কর্মকর্তা প্রতাপ সাহা জানান, মেলায় বরাবর ল্যাপটপ বিক্রি ভালো হয়। মেলা উপলক্ষে ছাড় ও উপহার থাকে। দর্শনার্থীরা মেলায় আসেন ল্যাপটপ কিনতে। ক্রেতাদের এখন পছন্দ বদলেছে। অনেকেই মেলা থেকে দামি ল্যাপটপ কেনেন।
মুহাম্মদ খান বলেন, এবারের ল্যাপটপ মেলার বিশেষত্ব হচ্ছে সবার চাহিদার মধ্যে বিভিন্ন দামের ল্যাপটপ। ছাড়-উপহার তো আছেই।
এক্সপো মেকার আয়োজিত এই মেলায় রয়েছে একটি মেগা প্যাভিলিয়ন, পাঁচটি স্পনসর প্যাভিলিয়ন, ১৪টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৭টি স্টল। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব প্যাভিলিয়ন ও স্টলে ল্যাপটপ বিক্রি করছে।
ল্যাপটপ কিনে বের হওয়ার সময় তরিকুল ইসলাম বলেন, বাজারের চেয়ে প্রায় তিন হাজার টাকা কমে তিনি ল্যাপটপ কিনতে পেরেছেন। এ ছাড়া উপহারও পেয়েছেন। তাই মেলা থেকে ল্যাপটপ কিনেছেন তিনি।
হ্যালো, মুভস ও টিবিএইচ বন্ধ করছে ফেসবুক

হ্যালো, মুভস ও টিবিএইচ বন্ধ করছে ফেসবুক

ফেসবুকের অধীনে থাকা ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপগুলো জনপ্রিয়। কিন্তু ফেসবুকের অধীনে থাকা মানেই সব অ্যাপ যে জনপ্রিয় হবে, তা কিন্তু নয়। ফেসবুকের অধীনে থাকা হ্যালো, মুভস ও টিবিএইচের ব্যবহার খুবই কম। তাই এই তিন অ্যাপ বন্ধ করে দিচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
হ্যালো হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে কন্টাক্ট অ্যাপ। মুভস হচ্ছে ফিটনেস অ্যাপ আর টিবিএইচ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের একটি অ্যাপ্লিকেশন। গত সোমবার ফেসবুক এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, ব্যবহার কম হওয়ার কারণে তিনটি অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
২০১৪ সালে ফিটনেস অ্যাপ মুভস চালু হয়। এটি ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন শারিরীক কার্যক্রমের রেকর্ড রাখে। ৩১ জুলাইয়ের পর অ্যাপটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। ২০১৫ সালে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজেরিয়ার অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য হ্যালো অ্যাপটি তৈরি করা হয়। এতে কন্টাক্ট নম্বরের পাশাপাশি ফেসবুকের তথ্যও রাখা যায়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি বন্ধ হয়ে যাবে।
ফেসবুক পণ্য ব্যবস্থাপক নিকিতা বিয়ের ‘টিবিএইচ’ অ্যাপটির সহপ্রতিষ্ঠাতা। ‘টু বি অনেস্ট’ কথার সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে টিবিএইচ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচয় গোপন করে সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ। ২০১৭ সালে ফেসবুক অ্যাপটি কিনে নেয় এবং আসন্ন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৯০ দিনের মধ্যে অ্যাপগুলো থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য মুছে ফেলা হবে বলে নিশ্চিত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
গ্রামীণফোনের শেয়ারে নেই ১১ হাজার কোটি টাকা

গ্রামীণফোনের শেয়ারে নেই ১১ হাজার কোটি টাকা

শেয়ারবাজারের সব থেকে বড় মূলধনী কোম্পানিটির শেয়ারের এমন দরপতনের কারণে সার্বিক শেয়ারবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। আর এ জন্য করোনাভাইরারেস আতঙ্ককে দায়ী করছেন তারা।
গত বছরের ডিসেম্বরের চীনে প্রথম করোনাভাইরাস আঘাত হানে। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে সাড়ে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ লাখ।
বাংলাদেশ প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রম শনাক্ত হয় মার্চের ৮ তারিখে। তবে এর আগেই বিশ্ব শেয়ারবাজারের পাশাপাশি বাংলাদে্শের শেয়ারবাজারেও নেতিবাচক প্রবণতা শুরু হয়ে যায়। কমতে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দাম। আর ৮ মার্চের পর দফায় দফায় শেয়ারবাজারে ধসের ঘটনা ঘটে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম কমা শুরু হয় ফেব্রুয়ারির ২৩ তারিখের পর থেকে। ২৩ ফেব্রুয়ারি টেলিযোগাযোগ খাতের এই কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩১৯ টাকা ৬০ পয়সা। যা টানা কমে শেয়ারবাজারের লেনদেন বন্ধ হওয়ার আগে ২৫ মার্চ দাঁড়ায় ২৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ প্রতিটি শেয়ারের দাম কমে ৮০ টাকা ৮০ পয়সা। এতে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১০ হাজার ৯১০ কোটি ৪২ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক সদস্য বলেন, ‘গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারের সব থেকে বড় মূলধনের কোম্পানি। সূচকের ওপর এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমা অথবা বাড়ার বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে মার্চজুড়েই শেয়ারবাজারে একের পর এক বড় দরপতন হয়েছে। গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম বড় অঙ্কে কমে যাওয়া এই দরপতন তরান্বিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বকেয়া নিয়ে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বের মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্ক গ্রামীণফোনের শেয়ারের দরপতন তরান্বিত করেছে। তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, আদালতের নির্দেশ মেনে ২৩ মার্চ গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা দেয়। এরপর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমা শুরু হয়। আর ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সেই পতনের মাত্রা আরও বেড়েছে।’
১ হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২টি। কোম্পানিটির এই শেয়ারের ৯০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। এ হিসাবে দরপতনের কবলে পড়ে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা হারিয়েছেন ৯ হাজার ৮১৯ কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
প্রতিষ্ঠানটির বাকি শেয়ারের মধ্যে ২ দশমিক ১৪ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এ হিসাবে গ্রামীণফোনের শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিদেশিরা হারিয়েছেন ৪২২ কোটি ২৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন ৪৩৫ কোটি ৩২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন ২৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
করোনা রোগী চিহ্নিত করতে নতুন অ্যাপ

করোনা রোগী চিহ্নিত করতে নতুন অ্যাপ

দেশে করোনা রোগী চিহ্নিত করতে ‘করোনা আইডেন্টিফায়ার’ নামের একটি অ্যাপ তৈরি করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। অ্যাপটি পরিচালনা করছে টেলিটক।
করোনাভাইরাস নিয়ে ভীতি দূর, সচেতনতা তৈরি ও আশপাশের মানুষ কেউ এ ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা সে বিষয়ে তাৎক্ষণিক তথ্য দেয়ার জন্য অ্যাপটি ডেভেলপ করা হয়েছে।
‘করোনা আইডেন্টিফায়ার’ অ্যাপটি শিগগিরই গুগল প্লে স্টোর এবং আইওএস স্টোরে পাওয়া যাবে। বর্তমানে http://coronaidentifier.teletalk.com.bd ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাচ্ছে।
জানা গেছে, এই অ্যাপটিতে দারুণ কিছু ফিচার সংযুক্ত করা হয়েছে। মূলত অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীর লোকেশন ব্যবহার করে কমিউনিটিতে করোনাভাইরাস কতটা সংক্রামিত হয়েছে, তার একটা স্ট্যাটাস জানা যাবে। আশপাশে কোনও কোভিড-১৯ সংক্রামক রোগী বা কোয়ারান্টিন ব্যক্তি রয়েছেন কি না সে বিষয়ে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করবে।
ব্যবহারকারীর নিকটস্থ কোনও ব্যক্তি বা কোনও ব্যক্তির সঙ্গে খুবই সম্প্রতি যোগাযোগ হয়েছে, এমন ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি মিললে তা ব্যবহারকারীকে সতর্ক করবে।
অ্যাপটির মাধ্যমে কিছু টেস্ট করারও সুযোগ রয়েছে। ‘করোনা আইডেন্টিফায়ার’ অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী বুকের এক্সরে ইমেজ অনলাইনে ওয়েব এবং মোবাইলে আপলোড করে মিনিটের মধ্যে করোনা টেস্ট রেজাল্ট পাবে। ব্যবহারকারী করোনা আক্রান্ত এমন সনাক্ত হয়ে থাকলে মুহূর্তের মধ্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এর ফলে দীর্ঘ সময় টেস্টের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, করোনা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশের মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েক দফায় আমার বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে একটি সহজলোভ্য অ্যাপ তৈরির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। কারিগরি টিম দিয়ে দ্রুত এটার বাস্তবায়নও করি। আশা করছি এই অ্যাপের মাধ্যমে আমাদের দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমমণের তথ্য ও কোয়ান্টারাইন থাকা ব্যক্তিদের সনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, অ্যাপটির আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত আমাদের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিম কাজ করছে। দেশ-বিদেশে যারা তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে তাদের কার্যক্রমগুলো আমরা খোঁজ খবর রাখছি। অ্যাপটির পরবর্তী সংস্করণে স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ নিয়ে আরও কিছু নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. নূর-উর-রহমান বলেন, মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এই দুর্যোগ মুহুর্তে অসাধারণ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছি। এটা আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি হয়েছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় হাসপাতালে যাওয়ার যে ঝামেলা ছিল সেটা অনেকটাই নিরসন হলো।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সব সময় দেশের মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছে টেলিটক। এবারও আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের তাৎক্ষণিক তথ্য সংগ্রহ এবং এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেছি।
দেশেই করোনা রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর উদ্ভাবনের দাবি

দেশেই করোনা রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর উদ্ভাবনের দাবি

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে জটিল রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর বা শ্বাস-সহায়ক যন্ত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে স্বল্পমূল্যের এবং দ্রুত বানানো যায় এমন ভেন্টিলেটর বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
বিখ্যাত আইটি উদ্যোক্তা এলন মাস্ক তাঁর টেসলা গাড়ির কারখানায় ভেন্টিলেটর বানানোর কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন। ভেন্টিলেটর বানানোর অন্যতম প্রতিষ্ঠান মেডিট্রনিক তাদের একটি ভেন্টিলেটরের নকশা ও কারিগরি বিষয় সকলের জন্য উন্মুক্ত করেছেন।
বাংলাদেশেও বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা কমখরচে ভেন্টিলেটর বানানোর চেষ্টা করছে। এর মধ্যে টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেড কম খরচে এবং দেশীয় প্রযুক্তিতে বাজারের সহজলভ্য কাঁচামাল দিয়ে ভেন্টিলেটরের প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে বলে দাবি করেছে।
প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র রাশেদ সারোয়ার জানান, আমাদের ভেন্টিলেটর একটি মেকানিক্যাল নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর। এটি প্রধানত করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ও বিভিন্ন ধরনের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ভেন্টিলেটর বাংলাদেশে স্থানীয় ভাবে যে কাঁচামাল পাওয়া যায় তা দিয়ে পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব। যে কারণে খরচ অনেকাংশে কমে এসেছে। মাত্র ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় এটা তৈরি করা সম্ভব।
তিনি আরও জানান, এই প্রোটোটাইপ এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। যথাযথ সরকারি অনুমোদনের পর প্রথম ৫০০টি ভেন্টিলেটর বিনামূল্যে সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
টাইগার আইটি ফাউন্ডেশন ২০১৯ এর শুরু থেকে বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এমআইটির সঙ্গে বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করছে। এমআইটি-র কনসেপ্ট থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে স্বল্প খরচের ভেন্টিলেটর তৈরিতে কাজ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাজ্জাদুল হাকিম, রেদোয়ান হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম।
এছাড়া কেউ যদি এই ডিজাইন এবং স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী উৎপাদনে যেতে চায়, টাইগার আইটি বাংলাদেশ লিমিটেড সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এর ডিজাইন এবং স্পেসিফিকেশন প্রদান করবে বলেও জানা গেছে।
হৃত্বিককে কাকু ডাকলেন কঙ্গনার বোন

হৃত্বিককে কাকু ডাকলেন কঙ্গনার বোন

বলিউডের আলোচিত জুটি হৃত্বিক রোশন ও কঙ্গনা রানাওয়াতের মন কষাকষি যেন থামছেই না। সুযোগ পেলেই কাদা ছুড়ছেন একে অন্যের প্রতি। সম্প্রতি এ বাকযুদ্ধে নতুন করে যোগ দিলেন কঙ্গনার বোন রাঙ্গোলি।
হৃত্বিক অভিযোগ করে বলেছেন, কঙ্গনা তার ওপর গোপনে নজরদারি করেন এবং তাকে যৌন উত্তেজক এসএমএসও পাঠিয়েছেন। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কঙ্গনা কিছু না বললেও বেজায় চটেছেন কঙ্গনার বোন রাঙ্গোলি।
রাঙ্গোলি জানান, হৃত্বিক যখন প্রথম ছবি মুক্তি দেন কঙ্গনা তখন স্কুলপড়ুয়া মেয়ে। তাই এমন একজন বুড়ো কাকুর প্রতি গোপনে নজরদারির কোনো প্রয়োজন নেই কঙ্গনার।
শুধু তাই নয়, রাঙ্গোলি সুযোগ পেয়ে হৃত্বিককে একটা উপদেশও দিয়েছেন। তিনি বলেন, এবার একটু নিজের স্ত্রী-সন্তানদের প্রতি নজর দিন। তাদের নিয়ে পরিকল্পনা করুন। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ বিতর্কে সবাই বুঝতে পেরেছেন কে প্রকৃত অপরাধী; তাই এ নিয়ে পড়ে থাকা বোকামি।
নামের বিড়ম্বনায় বাংলাদেশির মরদেহ পাকিস্তানে

নামের বিড়ম্বনায় বাংলাদেশির মরদেহ পাকিস্তানে

সৌদিতে নিহত এক বাংলাদেশির মরদেহ পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়ার পর ভুল ধরা পড়ায় ফেরত আনা হয়েছে। নামের মিলের কারণে কর্তৃপক্ষের এই ভুলের খবর এসেছে সৌদি গেজেটে।
নিহত ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের কুমিল্লার বরুড়ার বাসিন্দা নিজামুল্লাহ বলে জানালেও তার বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেননি দাম্মামে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সেলর ফয়সল আহমেদ। সৌদি গেজেট জানায়, গত সপ্তাহে দাম্মামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ওই ব্যক্তি। তখন হাসপাতাল মর্গে তাকে পাকিস্তানি নিজামুল্লাহ বলে শনাক্ত করা হয়।
পাকিস্তানের পেশওয়ারের নিজামুল্লাহ সৌদি আরবের দাম্মামে গাড়িচালকের কাজ করতেন। শনাক্তের পর পাকিস্তানে পাঠানো হয় নিজামুল্লাহর মরদেহটি। পেশওয়ারের বাছা খান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মরদেহ গ্রহণ করতে উপস্থিত ছিলেন নিজামুল্লাহর স্বজনরা।
সৌদি গেজেট জানায়, কফিন খোলার পর স্বজনরা দেখে বলেন, এই মরদেহ তাদের নিজামুল্লাহর নয়। পাকিস্তানি নিজামুল্লাহর পরিবার ওই মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানালে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তা ফেরত পাঠানো হয় সৌদি আরবে।
এরপর মরদেহটি বাংলাদেশের নিজামুল্লার বলে নিশ্চিত হওয়া যায় বলে সৌদি সংবাদপত্রটি জানায়। খবরটি দেখে দাম্মামে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সেলর ফয়সল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিজামুল্লাহর বাংলাদেশি এবং তার বাড়ি কুমিল্লার বরুড়ায়।
এদিকে পাকিস্তান দূতাবাসও তাদের আসল নিজামুল্লাহর মরদেহ শনাক্ত করে দেশে পাঠানোর কাজ করছে বলে দেশটির দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে সৌদি গেজেট।
বিলম্ব নয়, তিন মাসের মধ্যেই ফোর-জি : তারানা

বিলম্ব নয়, তিন মাসের মধ্যেই ফোর-জি : তারানা

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, তিন মাসের মধ্যেই ফোর-জি চালু হচ্ছে। অপারেটররা ইতোমধ্যে ফোর-জি চালু করার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে।
বুধবার সকালে ফোর-জি সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে জাগো নিউজকে তিনি এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ নেই, তিন মাসের মধ্যেই ফোর-জি চালু হচ্ছে। অপারেটররা ইতোমধ্যে ফোর-জি চালু করার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে।
বুধবার সকালে ফোর-জি সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে জাগো নিউজকে তিনি এসব কথা বলেন।
সিঙ্গাপুরে নতুন করে ১৭১ বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত

সিঙ্গাপুরে নতুন করে ১৭১ বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত

সিঙ্গাপুরে নতুন করে ৩৩৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭১ জনই বাংলাদেশি। মঙ্গলবার ১৭১ জনসহ এখন পর্যন্ত দেশটিতে মোট ১০৪৯ জন বাংলাদেশি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সিঙ্গাপুরে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩২৫২ জন৷ আজ আরও ২৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন৷ এই নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৬১১ জন।
১৪ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৭০ বছর বয়স্ক একজন সিঙ্গাপুরীয়ান নাগরিকের মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরে দশজনের মৃত্যু হয়েছে৷
সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে বড় ক্লাস্টার হিসেবে পংগল S11 ডরমিটরিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ডরমিটরি থেকে আজকে আরো ১৩২ জন করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়। এখন পর্যন্ত পংগল S11 ডরমিটরি থেকেই ৭১৮ জন অভিবাসী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷
আক্রান্ত ৩৩৪ জন সবাই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছে৷ আজকে ২২০ জন পূর্বের ক্লাস্টার কিংবা রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই অভিবাসীদের থাকার জায়গা ডরমিটরির সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। ১১৪ জনের তথ্য এখনো অজানা।
১৩১৫ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন৷ এরমধ্যে ২৮ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে৷ ১৩১৬ জনের অবস্থা ক্লিনিক্যালি ভালো কিন্তু পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় তাদেরকে অন্য রোগীদের কাছ থেকে আলাদা রাখা ও যত্নের জন্য কনকর্ড ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতাল, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল, গ্লেনেগল হাসপাতাল এবং দ্য কমিউনিটি আইসোলেশন ফ্যাকাল্টি অ্যাট ডিজোর্টে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
http://khoborpatrabd.com/archives/65

http://khoborpatrabd.com/archives/65

ব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে সর্বশেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৯ বছর আগে, ২০০৮ সালে। সেবারও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ১২৯ রানের ব্যবধানে। ৯ বছর পর সেই মাঠে আজ টসে জিতে
ব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে সর্বশেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৯ বছর আগে, ২০০৮ সালে। সেবারও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ১২৯ রানের ব্যবধানে। ৯ বছর পর সেই মাঠে আজ টসে জিতেব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে সর্বশেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৯ বছর আগে, ২০০৮ সালে। সেবারও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ১২৯ রানের ব্যবধানে। ৯ বছর পর সেই মাঠে আজ টসে জিতেব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে সর্বশেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৯ বছর আগে, ২০০৮ সালে। সেবারও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ১২৯ রানের ব্যবধানে। ৯ বছর পর সেই মাঠে আজ টসে জিতেব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে সর্বশেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৯ বছর আগে, ২০০৮ সালে। সেবারও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ১২৯ রানের ব্যবধানে। ৯ বছর পর সেই মাঠে আজ টসে জিতে
ব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে সর্বশেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল আজ থেকে ৯ বছর আগে, ২০০৮ সালে। সেবারও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ১২৯ রানের ব্যবধানে। ৯ বছর পর সেই মাঠে আজ টসে জিতে
সাংবাদিক আসলামের মৃত্যুতে আইজিপি’র শোক

সাংবাদিক আসলামের মৃত্যুতে আইজিপি’র শোক

বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক আসলাম রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (৮ মে) এক শোকবার্তায় আইজিপি বলেন, আসলাম রহমান ছিলেন নিষ্ঠাবান সাংবাদিক, অত্যন্ত বিনয়ী ও অমায়িক একজন মানুষ। ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে সমাজের অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে কলম ধরার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন এক আপোষহীন যোদ্ধা।
বেনজীর আহমেদ আরো বলেন, আসলাম রহমানের সাথে বাংলাদেশ পুলিশের ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ পারস্পরিক পেশাগত সুসম্পর্ক। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা এক আপনজনকে হারালাম।
আইজিপি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
২৮০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে পাঠানো হল ভাসানচরে

২৮০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে পাঠানো হল ভাসানচরে

বঙ্গোপসাগরে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাসতে থাকা ২৮০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদের ভাসানচরে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আল-জাজিরা এমন খবর দিয়েছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদারও শুক্রবার সকালে তাদের ভাসানচরে নেয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের জলসীমায় রোহিঙ্গাদের বহনকারী জীর্ণ নৌকাটি দেখা যায়। খবরে বলা হয়, উদ্ধারের সময় এসব রোহিঙ্গা প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ছিল। তাদের খাবার ও পানি দেয়া হয়েছে।
এরপর নৌকাটিকে নিয়ে যাওয়া হয় নোয়াখালীর ভাসানচরে। সেখানে গত ৪ মে আরও ২৮ রোহিঙ্গাকে পাঠানো হয়েছিল।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গণহত্যা থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের আগস্টের শেষ দিকে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন।
রেমডেসিভিরের নমুনা জমা দিলো এসকেএফ

রেমডেসিভিরের নমুনা জমা দিলো এসকেএফ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর ওষুধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে রেমডেসিভির ওষুধটি স্বীকৃতি পাওয়ার পর বাংলাদেশও এর উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পন্নের পথে রয়েছে। এরইমধ্যে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এবং এসকেএফ তাদের উৎপাদিত রেমডেসিভিরের নমুনা ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরে জমা দিয়েছে।
শনিবার (৯ মে) ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের পরিচালক রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত বুধবার বেক্সিমকো তাদের ওষুধের নমুনা জমা দিয়েছিল। আর এসকেএফ দিয়েছে আজ ( ৯ মে), যদিও তাদের জমা দেওয়ার কথা ছিল আগামীকাল।
তিনি আরও বলেন, বেক্সিমকোর ওষুধের পরীক্ষা শুরু হয়েছে আগেই, এসকেএফের নমুনা জমা হলো মাত্র, হয়তো আজ অথবা আগামীকাল থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। এখন এই পরীক্ষাতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তারা বাজারজাত করার অনুমতি পাবে।
কাল নিলামে উঠছে মুশফিকের ইতিহাস গড়া ব্যাট

কাল নিলামে উঠছে মুশফিকের ইতিহাস গড়া ব্যাট

করোনায় থমকে গেছে গোটা পৃথিবী। এমন অবস্থায় করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশ দেওয়া হয় অঘোষিত লকডাউন। যার ফলে দুস্থ ও অসহায় মানুষেদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মানবেতর জীবন যাপন করছে সেইসব মানুষেরা। তাই করোনা পরিস্থিতিতে সেইসব দুস্থদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ঐতিহাসিক একটি ব্যাট নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে এইসকল মানুষদের পাশে দাড়াতে গত বিশ্বকাপের নিজের পছন্দের ব্যাট নিলামে তুলেন সাকিব আল হাসান।
২০১৩ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার ইতিহাস গড়া ব্যাট নিলামে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। শনিবার (০৯ মে) শুরু হচ্ছে মুশফিকের সেই ব্যাটের নিলাম।
ই-কমার্স সাইট ‘পিকাবু’র মাধ্যমে হবে মুশফিকের ব্যাটের নিলাম। বৃহস্পতিবার (০৭ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা পোস্টে মুশফিকুর রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ পুরোটাই ব্যয় করা হবে করোনাকালে অসহায়দের মাঝে। শনিবার রাত ১০টায় নিলাম শুরু হয়ে চলবে বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে একই সময়ে নিলাম হবে মাশরাফী বিন মর্তুজা, মোসাদ্দেক হোসেন, আকবর আলী, নাঈম শেখের স্মারকেরও।
নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে করা পোস্টে মুশফিক লিখেছেন, ‘আশা করি সামর্থ্যবান যাদের ক্রিকেটের প্রতি প্যাশন আছে, তাদের জন্য সংগ্রহ রাখার মতো আকর্ষণীয় এক স্মারক হতে পারে এটি। পাশাপাশি, তাদের মানবসেবাও হবে।’
নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ দুই ধাপে ব্যয় করবেন মুশফিক, ‘নিলাম থেকে যে অর্থ আসবে তার একটি অংশ দেব ব্র্যাক এর মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা বিপর্যস্ত কিছু পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ও বাকি অংশ দিয়ে আমার নিজের এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াব।
আবারও সাকিবের সঙ্গে মুশফিকের পার্টনারশিপ

আবারও সাকিবের সঙ্গে মুশফিকের পার্টনারশিপ

ক্রিকেটের বাইশ গজের পিচে গড়েছেন সাকিব-মুশফিক দারুণ সব জুটি। দেশসেরা দুই ক্রিকেটারের জুটি সেই বিকেএসপির বয়সভিত্তিক দল থেকে। এরপর ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও জুটি গড়েছেন এই দুইজন। এবার সেই সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম এক হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের মানুষের। বগুড়ায় মুশফিকুর রহিমের নিজ শহরে সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ৩৫০ এর অধীক পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছেন।
সাকিব আল হাসানের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে মুশফিকুর রহিম এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করেন এই তথ্য। মুশফিক বলেন, ‘বাইশ গজের পিচে গড়েছেন দারুণ সব জুটি। এবার সেই সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম এক হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের মানুষের। সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের সাথে সম্মিলিত এক প্রচেষ্টায় মুশফিকুর রহিম পাশে দাঁড়িয়েছেন ৩৫০টি পরিবারের। এই কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগীতার জন্য বগুড়া জেলা স্কুলের সাহসী প্রাক্তন ছাত্রদের জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। মুশফিকুর রহিম কেও ধন্যবাদ।’
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই মুশফিকুর রহিম সাধারণ অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। নিজ শহরের হাসপাতালে প্রায় দুইশ পিপিই প্রদান করেন। এবং নিজ এলাকার ওয়ার্ড কমিশনারের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা করেন দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে। এছাড়াও শ্রীলংকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্যাটটি নিলামে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন মুশফিক। শনিবার (৯ মে) একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মুশফিকের রেকর্ড গড়া ব্যাটটি নিলামে উঠবে। আর নিলাম থেকে প্রাপ্য অর্থের সম্পূর্ণটাই ব্যয় হবে সাধারণ মানুষের সাহায্যে।
কেবল মুশফিক একাই নয়, সেই সঙ্গে এগিয়ে এসেছেন সাকিব আল হাসানও। মহামারীর এই সময়ে নিজের নামে একটি ফাউন্ডেশন শুরু করেন সাকিব। সেখান থেকে ইতোমধ্যেই ২০ লক্ষাধিক টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদান করেন সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন। এছাড়াও অসহায় দুঃস্থ মানুষকে ত্রাণ সাহায্য দিয়েও পাশে থেকেছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক।
রমজান উপলক্ষে দেশবাসীকে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা

রমজান উপলক্ষে দেশবাসীকে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা

রমজান উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকেই রোজা পালন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
ফখরুল বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এখন কোয়ারেন্টাইনেই আছেন। যেহেতু গোটা জাতি ‘শাটডাউনে’ আছে, চলাচল এবং সব কিছুই বন্ধ।
তিনি বলেন, ‘উনি ওনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসাধীন আছেন এবং এভাবে কোয়ারেন্টাইনে থেকে তিনি রোজা পালন করবেন।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালেদা জিয়া দুই পুত্রবধূ, নাতনিদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন, কোরআন তেলাওয়াত, তজবিহ পাঠসহ বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।
গত ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় সরকার। মুক্তি পেয়ে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ওঠেন অসুস্থ খালেদা জিয়া। বাসার দোতলায় চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে তিনি ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। ওই ১৪ দিন শেষ হওয়ার পর এখনও তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
লন্ডন থেকে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান তার চিকিৎসার সব কিছু তত্ত্বাবধায়ন করছেন।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের সদস্য অধ্যাপক এজে এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আসলে ম্যাডামের শারীরিক অসুস্থতাটা পূর্বের ন্যায়ই আছে। এটা বিভিন্ন কারণে হচ্ছে। হাত-পায়ের ব্যথা আগের মতোই আছে। আজকে হয়তো একটু ভালো থাকেন, আবার কালকে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে। ব্যথা উপশমের জন্য থেরাপি দেয়া হচ্ছে। ওনার ডায়াবেটিস বেশ অনিয়ন্ত্রিত।’
‘ম্যাডাম বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি ও পরবর্তী অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন’- বলে জানান তিনি।
গুলশানের ‘ফিরোজা’র গেটে পাহারারত নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, ম্যাডামের বাসায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। শুধু চিকিৎসক ও কয়েকজন নিকট আত্মীয়স্বজন বাসায় প্রবেশাধিকার রয়েছে।
সরকার করোনার তথ্য-উপাত্ত গোপন করেছে : ফখরুল

সরকার করোনার তথ্য-উপাত্ত গোপন করেছে : ফখরুল

সরকার করোনাভাইরাসের তথ্য-উপাত্ত গোপন করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘করোনাভাইরাস বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে আক্রান্ত, সুস্থ এবং মৃত্যুর যে ডাটাগুলো দেয়া হচ্ছে, আমার তো মনে হয় বাংলাদেশের কোনো মানুষ তা বিশ্বাস করে না। দুর্দিনেও সরকার জনগণকে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।’
বৃহস্পতিবার (৭ মে) দুপুরে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মাঝে পিপিই বিতরণের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে সরকারের তরফ থেকে যে আক্রান্ত, অসুস্থ, সুস্থ এবং মৃত্যুর ডাটাগুলো দেয়া হচ্ছে, আমার তো মনে হয় বাংলাদেশের কোনো মানুষ তা বিশ্বাস করে না। এটা বিজ্ঞানের কথা। সংক্রমণ যখন বাড়ছে, উপর দিকে যাচ্ছে। তখন মৃত্যু ২/৩/৪-এ এসে পৌঁছেছে। অথচ সেদিনই আপনার ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক বলেছেন, আমার এখানে ৩১ জন মারা গেছেন, কয়েকজনের ডায়াগনোসিসে করোনা পজিটিভ হয়েছে, বাকিদেরটা আমরা এখন পর্যন্ত টেস্ট করিনি। আমাদের কাছে তথ্য হচ্ছে, টেস্ট করা হয় না, নির্দেশটা হচ্ছে টেস্ট করতে মাঝে মাঝে।’
ফখরুল বলেন, ‘এটাকে কি সরকার বলবেন আপনারা? যাদের এতটুকু দায়িত্ববোধ নেই, যারা চরম দুর্দিনেও জনগণকে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না, জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এটা ক্রিমিনাল অফেন্স ছাড়া কী বলব আমরা?’
তিনি বলেন, ‘আজকে প্রশ্ন হচ্ছে জীবনের, প্রশ্ন হচ্ছে- নাথিং ইজ মোর প্রেসাইজ দেয়ার লাইফ। আর এরা খুলে দিয়েছেন শপিংমল। কেন ঈদের বাজার করতে হবে, আর অর্থনীতিকে চালু রাখতে হবে? এতদিন কী করলেন? এই যে মধ্যম আয়ের দেশে চলে গেলেন, বিশ্বের মধ্যে আপনার অর্থনীতি রোল মডেল। কেন বর্তমান অবস্থাকে ধারণ করার মতো শক্তি এই ইকোনমির তৈরি হয়নি? কারণ আপনারা পুরোটাই মিথ্যা কথা বলেছেন, মানুষকে প্রতারণা করেছেন, ভুল বুঝিয়েছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আপনারা ব্যর্থ হয়েছেন। যখন স্বাভাবিক অবস্থা ছিল, তখনও ব্যর্থ হয়েছেন। আজকে যখন যুদ্ধাবস্থা বলা যেতে পারে চরম দুর্যোগ-মহামারি, সেই সময় রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। আমরা যখন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি, তখন আপনি সেটাকে নাকচ করে দিয়ে বলেছেন যে কোনো দরকার নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেব অত্যন্ত সুবেশী এবং টিপটপ জেন্টেলম্যান (ভদ্রলোক)। তিনি সুযোগ পেলেই বিএনপিকে আক্রমণ করেন এবং তার সুন্দর সুললিত ভাষায় সেই আক্রমণগুলো করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা বলতে চাই, আপনি যে কথাগুলো বলেন, সেটা পরে আবার শোনেন কি বলেছেন? শোনা উচিত এজন্য যে, তাহলে নিজেই বুঝবেন, জনগণ আপনার কথা বিশ্বাস করছে না এবং এই কথাগুলো সঠিক নয়।’
তৈরি পোশাক কারখানাসমূহ খুলে দিয়ে সরকার ক্ষমাহীন অপরাধ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আজকে প্রতিটি মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। এই যে গার্মেন্টসগুলোকে ওনারা (সরকার) খুলে দিলেন, গার্মেন্টস খুলে দিয়ে কী করলেন? বাইরের এলাকাগুলো থেকে সব চলে আসল, যারা সংক্রমিত হয়ে চলে গিয়েছিল আবার সংক্রমিত হয়ে ফেরত আসল। আজকের পত্রিকায় নিউজ আছে যে, কুমিল্লায় সংক্রমিত হয়ে গেছেন তিন দিন আগে, তাকে তার বাসায় ঢুকতে দেয়নি তার সন্তান-স্ত্রী, তার বোনের বাসা গেছেন, সেখানে সে মারা গেছেন।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এই যে ভয়াবহ পরিণতির দিকে তারা (সরকার) গোটা জাতিকে ঠেলে দিচ্ছেন- এটা আসলে ক্ষমাহীন অপরাধ। আমি তো মনে করি যে, দিস ইজ এ ক্রিমিনাল অফেন্স। এই ধরনের ভুল, এটা ভুল নয়, এগুলো হচ্ছে ক্রিমিনাল অফেন্স। এ দেশের মালিক হচ্ছে জনগণ। জীবনের অধিকার তাদের ফান্ডামেন্টাল রাইট টু লিভ (বাঁচার মৌলিক অধিকার)। সেই জায়গায় তারা আঘাত করছেন, অর্থাৎ ইউ হ্যাভ নট রাইট টু লিভ টু ডায়িং। কিচ্ছু যায় আসে না। অবস্থাটা আজকে সেরকম হয়ে গেছে।’
করোনাভাইরাস নিয়ে সংবাদ সংগ্রহে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেখুন, গণমাধ্যমের যারা সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ পরিবেশ করছেন তাদের কী অবস্থা। বিভিন্ন জায়গায় ছাঁটাই হয়ে গেছেন এই দুঃসময়ে, অনেক প্রতিষ্ঠানে বেতন-টেতন বন্ধ হয়ে আছে তিন মাস যাবত। সেখানে কিন্তু সরকারের কোনো প্রণোদনা নেই। এই যে সরকার ৯৫ হাজার কোটি টাকার একটা প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, যেটাকে আমরা বলেছি যে পুরোটাই শুভঙ্করের ফাঁকি। সেই প্রণোদনাতে সাংবাদিকদের কথা কিছুই বলা নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই সভা থেকে আহ্বান জানাব, সংবাদমাধ্যমের যারা মালিক আছেন তারা দয়া করে সংবাদকর্মীদের বেতন পরিশোধ করবেন, কাউকে চাকরিচ্যুত করবেন না এই দুর্দিনে এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন। সরকারের প্রতি পরিষ্কার আহ্বান, অবিলম্বে সকল গ্রেফতারকৃত সাংবাদিকদের মুক্তি দিন।’
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যবস্থাপনায় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিই) প্রদান উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। পরে রিপোর্টারদের হাতে পিপিই তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সহসভাপতি রাশেদুল হক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান ও আতিকুর রহমান রুমন উপস্থিত ছিলেন।
মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে সরকার: রিজভী

মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে সরকার: রিজভী

আজকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে যখন সংক্রমণের মাত্রা বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন সরকার লকডাউন খুলে দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (৮ মে) গাজীপুর মহানগর যুবদলের উদ্যোগে টঙ্গী বাজার এলাকায় ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এ অভিযোগ করেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মরদেহ রাস্তাঘাটে পড়ে থাকছে এই অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, টেস্ট করার কোনো উপায় নেই। পর্যাপ্ত মেডিক্যাল সহায়তা নেই। এটা সরকার খেয়াল করছে না। এটার কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। মানুষের জীবন তাদের কাছে বড় নয়। তাদের কাছে টাকা অনেক বড় কথা। যে খাদ্য ছিল তা দিয়ে দুই-তিন মাস গরিব মানুষকে চালাতে পারতাম। বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দিতে পারতাম না। নিশ্চয়ই পারতাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনীকে দিয়ে যারা গার্মেন্টসে কাজ করে, দিন আনে দিন খায়, রিকশাচালক তাদের সবাইকে দিতে পারতাম। সরকার ওইদিকে যায়নি। সরকারের কথা হচ্ছে মানুষ মরুক আমার কিছু যায় আসে না। আমার হাতে টাকা থাকলেই বড় বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘লাকডাউনে গরিব মানুষ, কৃষক-শ্রমিক, দিন আনে দিন খায় তাদের চলবে কী করে। পেটের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে এটা কিছুই মানতে চায় না। আমাদের দল বিএনপিকে বলেছি, সারাদেশের মানুষের সঙ্গে থাকতে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুই বছর অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সারাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে। বিএনপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সারাদেশের প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন। আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সবস্তরের নেতাকর্মীরা যেন মানুষের পাশে দাঁড়ায়। বিএনপির নেতাকর্মীরা খাবেন, অন্যরা খাবে না এমন যেন না হয়। আমরা সেটাই চেষ্টা করছি। নিজেদের টাকায় কেনা ১৩ লাখ পরিবারকে সহায়তা করেছি। বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলের নেতাকর্মীরা সারাদেশে ত্রাণ বিতরণ করছেন।’
ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সকার জাবেদ আহমেদ, গাজীপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভাট, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদারসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গুজব ও অপপ্রচার ভাইরাসের চেয়েও ভয়ংকর : কাদের

গুজব ও অপপ্রচার ভাইরাসের চেয়েও ভয়ংকর : কাদের

ওবায়েদুল কাদের বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি এক শ্রেণির মানুষ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। কোনো ঘটনা না ঘটলেও তা রটানো হচ্ছে। এসব গুজব ও অপপ্রচার ভাইরাসের চেয়েও ভয়ংকর।’
শনিবার (৯ মে) সকালে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের এবারের ঈদের (ঈদুল ফিতর) কেনাকাটা না করে এর অর্থ অসহায় ও কর্মহীনদের মাঝে বিতরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এবার ঈদ এসেছে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভিন্ন বাস্তবতায় দেশ পার করছে কঠিন সংকটকাল। এ পরিস্থিতিতে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঈদের শপিং না করে এর অর্থ অসহায়, দরিদ্র কর্মহীন জনগণের মাঝে বণ্টনের আহ্বান জানাচ্ছি। এভাবেই আমরা এবারের ঈদ উদযাপন করতে চাই। চাই ত্যাগের মহিমায় নিজেদেরকে অসহায় জনগণের সঙ্গে একাত্ম করতে।’
করোনাকালে পারিবারিক সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে চলেছে। এ ধরনের সহিংসতা করোনা বিস্তারে সহায়ক হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চলমান বৈশ্বিক করোনা মহামারিরে মধ্যে সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইনের অপপ্রয়োগ করে গ্রেফতার ও হয়রানি চলছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
শনিবার (৯ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হওয়া ‘প্রিজনার্স অব কনসায়েনস’সহ সকল রাজবন্দি, আদালত পুরোপুরি না খোলা পর্যন্ত হত্যা-ধর্ষণসহ জঘন্য অপরাধ ছাড়া সব ধরনের গ্রেফতার বন্ধ রাখা অথবা বিকল্প হিসেবে গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালত খোলার পর আত্মসমর্পণের শর্তে মুক্তি, কারাবন্দি লঘু অপরাধে ও রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মী, বয়স্ক ও মহিলা বন্দিদের মুক্তি দিন।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নতুন করে সাংবাদিক, কার্টুনিস্ট, লেখক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মানুষজন গ্রেফতারের ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে একটি কার্য্কর মানহানি আইন থাকা সত্ত্বেও নির্যাতন ও হয়রানি উদ্দেশ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকেই বার বার ব্যবহার করছে সরকার। মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে পেছনে হাতমোড়া অবস্থায় হ্যান্ডকাফ পরা সাংবাদিকের (শফিকুল ইসলাম কাজল) ওই ছবিসহ সংবাদ প্রমাণ করে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সরকার কীভাবে সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।’
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার দূরে থাকুক, মানুষ তার কষ্টের কথাও যেন ভার্চুয়াল জগতে প্রকাশ করতে না পারে, তার জন্য একের পর এক পরিপত্র জারি করে চলেছে সরকার। বিটিআরসির মতো একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে পরিণত করেছে ডিজিটাল জগতে সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠার প্রধান পুলিশি প্রতিষ্ঠানে। শুধু বিএনপি নয়, সকল রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদপত্র সম্পাদকদের সম্মিলিত সংগঠনও ওই গণবিরোধী আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে বার বার। এরই মধ্যে সাত জন রাষ্ট্রদূত টুইটারের মাধ্যমে এই গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করতে বলেছেন সরকারকে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ধরনের পরিপত্র জারি করে কেবল দুর্নীতিকেই প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। এখন যে প্রশ্নটা এসে যায়, সরকার এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিরব কেন? আর যারা এসব তুলে ধরছে, কথা বলছে, তাদের ওপর সরকার দমনপীড়ন চালাচ্ছে কেন? এ ক্ষেত্রে সরকারের নিশ্চয়ই কোনো দুর্বলতা আছে। যে কারণে তারা প্রশ্রয় দিচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই সাকিব!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকেই সাকিব!

অনৈতিক প্রস্তাব আকসুকে না জানানোয় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। যে কারণে মিস করার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব ও প্রথম রাউন্ড। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে আগামী অক্টোবরের ২৯ তারিখ। তার ঠিক ১১ দিন আগে ১৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
কিন্তু বিশ্বজুড়ে এখন চলছে করোনা ভাইরাসের রাজত্ব। ভাইরাসটির আক্রমণে থমকে গেছে পুরো পৃথিবী। বন্ধ রয়েছে খেলাধুলার সব ইভেন্ট। ঘরে বন্দি মানুষ। বিশ্বে চলা এই মহামারি সাকিব এবং টাইগারভক্তদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে। কেননা পিছিয়ে যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসর।
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন বর্তমান করোনা ভাইরাস যে অবস্থায় আছে তাতে সঠিক সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে সংশয় আছে।
এবারের আসরটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার মনে করেন, আসন্ন অক্টোবর-নভেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি গতকাল শুক্রবার ইনস্টাগ্রাম চ্যাটে রোহিত শর্মাকে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবার হবে। ১৬ দলের প্রতিটি ক্রিকেটারকে এক সঙ্গে পাওয়া কঠিন।’
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে কি না তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আইসিসি। তবে পেছাতে পারে ক্রিকেটের সবচেয়েয় জনপ্রিয় এ আসরটি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপের আসরটি এক মাস পেছালেও পুরো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে টাইগার ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব। তার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ অক্টোবর। এক মাস পেছালেও পুরো আসরে খেলতে পারবেন বাংলাদেশের জান বাংলাদেশের প্রাণ।
এমনিতেই বর্তমান পারফরমেন্সের বিবেচনায় বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে খুবই দুর্বল। র্যাং কিংও সে কথাই বলছে। ক্রিকেটের নতুন দল আফগানিস্তানের থেকেও নিচে বাংলাদেশ। তাই সাকিববিহীন বাংলাদেশ দল আরও যে দুর্বল হবে সে কথা বলাই যায়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ অক্টোবর জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার তথ্য গোপন করায় সাকিব আল হাসানকে ক্রিকেট থেকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি৷ তবে দোষ স্বীকার করায় এক বছর স্থাগিত করে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব৷