Saturday, 9 May 2020

মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে সরকার: রিজভী

আজকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে যখন সংক্রমণের মাত্রা বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন সরকার লকডাউন খুলে দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (৮ মে) গাজীপুর মহানগর যুবদলের উদ্যোগে টঙ্গী বাজার এলাকায় ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এ অভিযোগ করেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানুষের মরদেহ রাস্তাঘাটে পড়ে থাকছে এই অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, টেস্ট করার কোনো উপায় নেই। পর্যাপ্ত মেডিক্যাল সহায়তা নেই। এটা সরকার খেয়াল করছে না। এটার কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার। মানুষের জীবন তাদের কাছে বড় নয়। তাদের কাছে টাকা অনেক বড় কথা। যে খাদ্য ছিল তা দিয়ে দুই-তিন মাস গরিব মানুষকে চালাতে পারতাম। বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দিতে পারতাম না। নিশ্চয়ই পারতাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনীকে দিয়ে যারা গার্মেন্টসে কাজ করে, দিন আনে দিন খায়, রিকশাচালক তাদের সবাইকে দিতে পারতাম। সরকার ওইদিকে যায়নি। সরকারের কথা হচ্ছে মানুষ মরুক আমার কিছু যায় আসে না। আমার হাতে টাকা থাকলেই বড় বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘লাকডাউনে গরিব মানুষ, কৃষক-শ্রমিক, দিন আনে দিন খায় তাদের চলবে কী করে। পেটের আগুন দাউদাউ করে জ্বলে এটা কিছুই মানতে চায় না। আমাদের দল বিএনপিকে বলেছি, সারাদেশের মানুষের সঙ্গে থাকতে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দুই বছর অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছিল। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সারাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে। বিএনপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সারাদেশের প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছেন। আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন সবস্তরের নেতাকর্মীরা যেন মানুষের পাশে দাঁড়ায়। বিএনপির নেতাকর্মীরা খাবেন, অন্যরা খাবে না এমন যেন না হয়। আমরা সেটাই চেষ্টা করছি। নিজেদের টাকায় কেনা ১৩ লাখ পরিবারকে সহায়তা করেছি। বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলের নেতাকর্মীরা সারাদেশে ত্রাণ বিতরণ করছেন।’
ত্রাণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সকার জাবেদ আহমেদ, গাজীপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি প্রভাষক বশির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভাট, সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদারসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

SHARE THIS

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 comments: